জনসাধারনের জন্য নিষিদ্ধ পাঁচটি রহস্যময় স্থান যা আজও সবার কাছে অজানা

এতবড় পৃথিবীতে আজব জিনিসের কমতি নেই। কিন্তু মানুষের সৃষ্টি রহস্যেরও অভাব নেই। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আপনি কখনোই যেতে পারবেন না যদি না আপনি সেই হাতে গোনা কয়েক জন মানুষের তালিকায় না হন। এই জায়গাগুলোর নিরাপত্তা এতই কঠোর যে ঐ জায়গার যাওয়া দূরের কথা খুব কম মানুষই জানে ঐ সব জায়গার কথা। এখানে সেই রকম পাঁচটি জায়গার কথা বলা হলো।

১। এরিয়া ৫১


এরিয়া-৫১এরিয়া ৫১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় অবস্থিত। এরিয়া-৫১ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। মোটামুটি একটি ঘোরের মধ্যেই আছে এই স্থানটি নিয়ে। এই স্থানটি জনসাধারনের জন্য নিষিদ্ধ। মূলত এটি একটি মিলিটারি বেইজ ক্যাম্প। কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিষ ঘটতে দেখা যায়। অনেকের মতে এখানে প্রায়ই অজানা বস্তু উড়তে দেখা যায় (UFO), অদ্ভুত অদ্ভুত প্রানীর মৃতদেহ পাওয়া যায়, ভয়ংকর শব্দ শোন যায়।তবে আজো সবার কাছে অজান এখানে কি হয়। আর কেনই বা এত নিরাপত্তা।

২। ইসি গ্রান্ড স্রিং(Ise Grand Shrine):

ইসি গ্রান্ড স্রিং
এই স্থানটি জাপানে অবস্থিতি। এটি জাপানের সবচেয়ে গোপনীয় এবং পবিত্র জায়গা। ধারনা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে ইসি গ্রান্ড স্রিং তৈরি করা হয়।তখন থেকে আজ পর্যন্ত জাপানের রাজ পরিবার এবং প্রিস্ট ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।প্রতি ২০ বছর পর পর এই স্রিংটি নতুন করে নির্মান করা হয়।ইতিহাসবিদদের ধারনা এখানে জাপানিজ সম্রাজ্যের মূল্যবান এবং হাজার হাজার বছরের পুরনো নথিপত্র লুকানো আছে যা বিশ্ববাসিদের কাছ অজানা




৩। ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভস:

ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভস:


ভ্যাটিকান সিটি মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে একটি রহস্যময় স্থান। পৃথিবীর অনেক পুরানো ইতিহাসের স্বাক্ষী হল এই ভ্যাটিকান সিটি। এই সিক্রেট আর্কাইভটিকে বলা হয় স্টোর হাউজ অফ সিক্রেট(storehouse of secret)।খুব কম সংখ্যক মানুষই এই জায়গার ঢোকার অনুমতি পায়। আর্কাইভসটি ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। ধারনা করা হয় এখানে প্রায় ৮৪০০০ (চুরাশি হাজার)বই আছে। ইতিহাসবেত্তাদের মতে এখানে খ্রিষ্টান, প্যাগান, মেসনারিসহ আরো বিভিন্ন ধর্ম ও মতবাদের গোপন নথিপত্র এখানে সংরক্ষিত আছে।

৪। ক্লাব ৩৩ অফ ডিজনিল্যান্ড:

ক্লাব-৩৩-অফ-ডিজনিল্যান্ডডিজনিল্যান্ড মানুষের বিনোদনের জন্য বিখ্যাত। বিনোদনের জন্য পৃথিবীজোরা নাম এর। এখানের সবকিছুই সাধারন মানুষের জন্য পুরো উন্মুক্ত। কিন্তু একটি ক্লবকে খুব রেস্ট্রিটেড করে রাখা হয়েছে। ক্লবটির নাম ক্লব ৩৩। ক্লবটির প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি নিজেই। এই সদস্য হবার প্রক্রিয়া এতই জটিল যে সদস্য পদের জন্য আবেদন করার প্রায় ১৪ বছর পরে আপনি জবাব পাবেন।



৫। মসকো মেট্রো-২:

মসকো-মেট্রো-২
এই স্থানটির অবস্থান রাশিয়া। পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ আন্ডারগ্রাউন্ড শহর এটি। কিন্তু রাশিয়ান সরকার কখনই এই স্থানের অস্তিত্ব সীকার করে নাই। এই স্থানটি স্তালিনের আমলে তৈরি করা হয়েছিল।অধিকাশং মানুষ মনে করে যে এটি ক্রেম্লিনের সাথে FSB Headquarter এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এতবড় একটি স্থানে মানুষের প্রবেশ অধিকারতো দূরের কথা ভালো ভাবে এর অস্তিত্বই জানে না।

Post a Comment

জানার অধিকার সবার আছে। তাই নিজে জানুন অন্যকে জানান। শেয়ার করুন আপনার পরিচিতদের সাথে এবং আপনার মতামত লিখে জানান