আষ্টাদশ শতাব্দির শেষের দিকে তখনকার পূর্ববাংলার দক্ষিনাঞ্চালে এক ধরনের বিকট এবং আজব ধরনের শব্দ শোনা যেতো। তার নাম করন করা হয় বরিশাল গানস অথবা গানস অফ বরিশাল। এই ধরনের শব্দকে বলা হয় মিস্টপুফার্স। শব্দের আকার ছিলো অনেক বড়। শব্দটা কিছুটা কামানের শব্দের মত শুনতে ছিল। কিন্তু আজব ব্যপার হলো কেউই কোন দিন এই শব্দের উৎস সম্পর্কে জানতে পারেনি।এখনও সেই শব্দ একটি রহস্য হয়ে থেকে গেছে।
নথিপত্রে বরিশাল গানসের কথা প্রথমে উল্লেখ করা হয় ১৮৭০ সালে। ১৮৮৬ সালে কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি তথ্য অনুযায়ী বরিশাল সহ খুলনা, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, হরিশপুর ইত্যাদি অঞ্চলে গানস অফ বরিশাল এর বিকট শব্দ শোনা গেছে। ১৮৯০ সালে টি.ডি.লাতুশ তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে বরিশাল গানস কেবল গাঙ্গেয় দ্বীপ নয় ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপেও শোনা গেছে। মাঝে মাঝে একটি শব্দ শোনা যেতো আবার কখনো বা দুইট বা তিনটি শব্দও শোনা যেতো। শব্দগুলো বেশি শোনা যেতো দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্বাঞ্চল থেকে। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শব্দগুলো বেশি শুনতে পাওয়া যেতো। ব্রিটিশরা প্রথমে ধারনা করেছিলো জলদস্যুদের কামানের আওয়াজ কিন্তু তারা কোথাও জলদস্যুদের জাহাজ কিবং তাদের ঘাঁটি খুজে পান নি। ঊনবিংশ শতকে গানস অফ বরিশাল ব্যপক তোলপার সৃষ্টি করে। পরে তার আরো কিছু অনুমান করেছিলেন কিন্তু তার কোনটাই আজও প্রমান করা সম্ভব হয় নি।
অনেকের ধারনা ছিল ভূমিকম্প, কেউ কেউ বলত বজ্রপাত আবার কারো মতে মোহনার ঢেউয়ের আঘাত ইত্যাদি। কিন্তু এ সবগুলোই ছিলো কেবল ধারনা মাত্র। গানস অফ বরিশালের রহস্য আজও আমাদের কাছে অজানা।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি সুফিয়া কামাল তার আত্মজীবনীমূলক বইতে গানস অফ বরিশালের কথা উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্য মতে ১৯৫০ সালের পরে এই শব্দ আর শোনা যায়নি।
বরিশালের মত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের শব্দ শোনা গেছে। তবে তার অনেকেই একে অন্য নামে ডাকে। ভারতের গঙ্গার তীরে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে, নেদারল্যান্ডস, ফিলিপাইন, জাপান, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড ও উত্তর সাগরসহ বেশ কিছু দেশে এই রহস্যময় শব্দ শোনার কথা জানা যায়।
গানস অফ বরিশাল নামে একটি ব্যান্ড দল আছে যুক্তরাষ্ট্রে
নথিপত্রে বরিশাল গানসের কথা প্রথমে উল্লেখ করা হয় ১৮৭০ সালে। ১৮৮৬ সালে কলকাতা এশিয়াটিক সোসাইটি তথ্য অনুযায়ী বরিশাল সহ খুলনা, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, হরিশপুর ইত্যাদি অঞ্চলে গানস অফ বরিশাল এর বিকট শব্দ শোনা গেছে। ১৮৯০ সালে টি.ডি.লাতুশ তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে বরিশাল গানস কেবল গাঙ্গেয় দ্বীপ নয় ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপেও শোনা গেছে। মাঝে মাঝে একটি শব্দ শোনা যেতো আবার কখনো বা দুইট বা তিনটি শব্দও শোনা যেতো। শব্দগুলো বেশি শোনা যেতো দক্ষিন ও দক্ষিন-পূর্বাঞ্চল থেকে। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শব্দগুলো বেশি শুনতে পাওয়া যেতো। ব্রিটিশরা প্রথমে ধারনা করেছিলো জলদস্যুদের কামানের আওয়াজ কিন্তু তারা কোথাও জলদস্যুদের জাহাজ কিবং তাদের ঘাঁটি খুজে পান নি। ঊনবিংশ শতকে গানস অফ বরিশাল ব্যপক তোলপার সৃষ্টি করে। পরে তার আরো কিছু অনুমান করেছিলেন কিন্তু তার কোনটাই আজও প্রমান করা সম্ভব হয় নি।
অনেকের ধারনা ছিল ভূমিকম্প, কেউ কেউ বলত বজ্রপাত আবার কারো মতে মোহনার ঢেউয়ের আঘাত ইত্যাদি। কিন্তু এ সবগুলোই ছিলো কেবল ধারনা মাত্র। গানস অফ বরিশালের রহস্য আজও আমাদের কাছে অজানা।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি সুফিয়া কামাল তার আত্মজীবনীমূলক বইতে গানস অফ বরিশালের কথা উল্লেখ করেছেন। তার ভাষ্য মতে ১৯৫০ সালের পরে এই শব্দ আর শোনা যায়নি।
বরিশালের মত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের শব্দ শোনা গেছে। তবে তার অনেকেই একে অন্য নামে ডাকে। ভারতের গঙ্গার তীরে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঞ্চলে, নেদারল্যান্ডস, ফিলিপাইন, জাপান, বেলজিয়াম, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড ও উত্তর সাগরসহ বেশ কিছু দেশে এই রহস্যময় শব্দ শোনার কথা জানা যায়।
গানস অফ বরিশাল নামে একটি ব্যান্ড দল আছে যুক্তরাষ্ট্রে